লকডাউনের জেরে গত মার্চ থেকে বন্ধ ছিল মদের দোকানগুলি। গত ৪ মে মদের দোকান খুলতে মাথায় হাত পড়ে মাদ্যপায়ীদের। এক ধাক্কায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যায় মদের দাম।
বাড়তি রাজস্বের আশায় লকডাউনের মধ্যেই মদের দাম আরও ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু হিতে হয়েছে বিপরীত। মদের দাম বাড়তে বিক্রি ঠেকেছে তলানিতে। দেশি হোক বা বিলাতি, অর্ধেক হয়ে গিয়েছে মদের রাজস্ব। তাতেই মাথায় হাত রাজ্য সরকারের। বাধ্য হয়ে তাই এবার মদের দাম কমানোর পথে হাঁটতে চলেছে তারা। সম্ভবত সেপ্টেম্বরেই বাড়তি দাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে আবাগারি দফতর।
লকডাউনের জেরে গত মার্চ থেকে বন্ধ ছিল মদের দোকানগুলি। গত ৪ মে মদের দোকান খুলতে মাথায় হাত পড়ে মাদ্যপায়ীদের। এক ধাক্কায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যায় মদের দাম। ফলে মদের দোকান খোলা নিয়ে যে তুমুল উৎসাহ তৈরি হয়েছিল তা চুপসে যায় কয়েক দিনের মধ্যে। সেই থেকে মন্দা চলছে পশ্চিমবঙ্গে মদ বিক্রিতে।
একে লকডাউনের জেরে আয় নেই মানুষের। তার ওপর বাড়তি দাম দিয়ে মদ কিনে খাওয়ার মতো উপায় নেই অনেকেরই। ফলে অনেকে দামি ব্র্যান্ড ছেড়ে সস্তা ব্র্যান্ড ধরেছেন। আর যারা সস্তা ব্র্যান্ড বা দেশি মদ খেতেন তাদের অনেকে খেতে শুরু করেছেন চোলাই। এতেই এক ধাক্কায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে রাজ্যের আবগারি রাজস্ব।
সূত্রের খবর, এই ধাক্কা কাটিয়ে ফের রাজস্ব আদায় স্বাভাবিক করতে মদের ওপর অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ রাজস্ব প্রত্যাহার করতে চলেছে রাজ্য সরকার। যার ফলে লকডাউনের আগের দামেই মিলবে মদ। একই সঙ্গে ১ সেপ্টেম্বর থেকে রেস্তোরাঁয় মদ বিক্রির অনুমতি দিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
Post a Comment