কলকাতা, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ — বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে রাজ্যবাসীকে বিশেষ উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় তিনি উদ্বোধন করলেন বহু প্রতীক্ষিত কালীঘাট স্কাইওয়াক, হকার্স কর্নার, এবং নবরূপে সজ্জিত কালীঘাট মন্দির। এরপর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্কাইওয়াক দিয়ে হেঁটে মন্দিরে পৌঁছে দেবীর পুজো দেন।
স্বপ্নের বাস্তবায়ন: কালীঘাট স্কাইওয়াক
দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক উদ্বোধনের সময় থেকেই কালীঘাটে একটি স্কাইওয়াক নির্মাণের কথা ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কালীঘাট এলাকা অধিক জনবহুল ও সংকীর্ণ হওয়ায় নির্মাণে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। সেইসব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অবশেষে প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
স্কাইওয়াকটির মূল বৈশিষ্ট্য:
- দৈর্ঘ্য: ৪৩৫ মিটার
- প্রস্থ: ১০.৫ মিটার
- সুবিধাসমূহ: ২টি এসকেলেটর, ৩টি লিফট, ৩টি সিঁড়ি
- শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড
- হাজরা রোড
- কালীঘাট রোড (মন্দির কমপ্লেক্স থেকে)
নবরূপে কালীঘাট মন্দির
মন্দিরের সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়নের কাজও শেষ হয়েছে। নবরূপে সজ্জিত কালীঘাট মন্দিরে এবার দর্শনার্থীদের জন্য আরও আধুনিক ও পরিস্কার পরিবেশ মিলবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, এই প্রকল্পে ৯৯% ব্যয় বহন করেছে রাজ্য সরকার। কেবলমাত্র মন্দিরের একটি সোনার চূড়া নির্মাণ করেছে রিলায়েন্স গ্রুপ, যেটি মুকেশ আম্বানির তরফ থেকে রাজ্য সরকারের অনুরোধে তৈরি করা হয়।
হকার্স কর্নার ও ডালার দোকান
স্কাইওয়াকে কোনো ডালা বিক্রির ব্যবস্থা না রেখে, মন্দির চত্বরে একটি নির্দিষ্ট ডালা মার্কেট বা হকার্স কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। এতে মন্দিরের সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও সুযোগ পাবেন।
কী সুবিধা মিলবে এই স্কাইওয়াকে?
- তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের যানজট মুক্ত ভাবে মন্দিরে প্রবেশের সুযোগ।
- বিশেষ উৎসবের সময় যেমন পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়া, কালীপূজা, গঙ্গাসাগর মেলা ইত্যাদিতে জনস্রোত নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সহায়ক হবে।
- পথচলতি ভিড় ও যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমবে, নিরাপত্তা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও বৃদ্ধি পাবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন