শুরু হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদন: চলমান করোনভাইরাস কোভিড -১৯ মহামারীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, 'আবার কি বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে ?'।  লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) ভারত ও চীনের মধ্যকার স্থবিরতা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা গত কয়েকমাস থেকেই চলছে । এরই মধ্যে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানদের মধ্যে যুদ্ধও শুরু হয়েছে । বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে এই যুদ্ধের ব্যাপক আকার নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ রাশিয়া এতে প্রবেশ করতে চলেছে । 

এই ধরণের পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কের উপর আক্রমণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন । কারণ রাশিয়া আর্মেনিয়ার সাথে রয়েছে যখন তুরস্ক মুসলিম দেশ আজারবাইজানের পক্ষে কথা বলছে । তুরস্ক ও পাকিস্তান, আজারবাইজানের পক্ষে যুদ্ধের জন্য সন্ত্রাসবাদ পাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে । যদি তুরস্ক কোনও আক্রমণের নির্দেশ দেয়, রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে একটি ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হবে এবং এই যুদ্ধে অন্যান্য পরাশক্তিও যোগ দেবে ।

ইরান-তুরস্কের সীমান্তে দুটি ছোট দেশ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ায় গত চার দিন ধরে যুদ্ধ চলছে । যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যে বিস্ফোরণ ও ধ্বংসাত্মক চিত্র এসেছে তা অত্যন্ত মন খারাপ করার মতো । আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া সীমান্তে, আজকাল কেবলমাত্র বিস্ফোরণের শব্দটি চব্বিশ ঘন্টা শোনা যাচ্ছে । আজারবাইজান একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং খ্রিস্টানরা আর্মেনিয়ায় প্রচুর সংখ্যায় বাস করে ।

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান এর মধ্যে যুদ্ধের প্রধান কারণ হলেন নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল । আজারবাইজান এই অঞ্চলের পার্বত্য অঞ্চলটিকে তার নিজের হিসাবে বর্ণনা করেছে, আর আর্মেনিয়া এটি দখল করেছে । ১৯৯৪ সালে লড়াই শেষ হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার দখলে ছিল । ২০১৬ সালেও এই অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল, যেখানে ২০০ জন মারা গিয়েছিল । এখন আবার দু'দেশ মুখোমুখি । উভয় দেশই ইউএসএসআরের অংশ ছিল ।

উভয় পক্ষই সীমান্তে সেনা সংগ্রহ করতে শুরু করেছে । আর্মেনিয়া চারটি আজারবাইজান হেলিকপ্টার  নষ্ট করার দাবি করেছে । সংকটের কারণে, আজারবাইজানের কয়েকটি অঞ্চলে সামরিক আইন প্রয়োগের পাশাপাশি বড় বড় শহরগুলিতেও কারফিউয়ের আদেশ দেওয়া হয়েছে । চিন্তার বিষয় যে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের এই যুদ্ধে রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান এবং ইসরায়েল জড়িত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এবং সেই কারণেই পুরো বিশ্ব এই আশঙ্কা শুরু করেছে যে সম্ভবত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হতে চলেছে ।