জবর খবর বাংলা

করোনা আতিমারির জন্য সারা বিশ্বে প্রায় দশ লাখের উপর লোকের মৃত্যু হয়েছে । এমনটাই আজ দাবি করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। বিশ্বে সংক্রমিত ৩ কোটি ৪২ লক্ষেরও বেশি । এই পরিস্থিতিতে রেকর্ড গতিতে টিকা তৈরির চেষ্টা চলছে । যাকে বলে, ‘ফাস্ট-ট্র্যাক’ গবেষণা । যার পরিণামে হয়তো মরতে হবে অন্তত ৫ লক্ষ হাঙরকে !বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে একটি সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষাকারী সংগঠন । তাদের বক্তব্য, মানুষের প্রাণ বাঁচাতে যে ভাবে হুড়োহুড়ি করে পরীক্ষা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, তাতে হয়তো মৃত্যুদণ্ড পেতে হবে ৫ লক্ষ হাঙরকে ।

কিন্তু কেন? বেশির ভাগ ভ্যাকসিন বা টিকাতে ‘অ্যাজুভ্যান্ট’ লাগে । এটি একটি ফার্মাকোলজিক্যাল এজেন্ট, যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । এই উপাদানটি মেলে হাঙরের লিভারে। ভ্যাকসিনের দ্রুত ও কার্যকরী প্রভাব পেতে উপাদানটি জরুরি। অতএব ব্যাপক সংখ্যায় গবেষণা এবং ব্যাপক পরিমাণে টিকা তৈরির জন্য হাঙর নিধন জরুরি হয়ে পড়ছে । মানুষের জীবনের বিনিময়ে প্রাণ যাবে লক্ষ লক্ষ হাঙরের ।

সব ভ্যাকসিনেই বিভিন্ন অ্যাজুভ্যান্ট ব্যবহার করা হয় । ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে লাগে ‘স্কুইলিন অয়েল’ । কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক তৈরিতেও এটি ব্যবহার করা হচ্ছে । হাঙর ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রাণীর লিভারে থাকে তেলটি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাঙরের লিভার অয়েলই নেওয়া হয় । ওই সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষাকারী সংগঠনটি দাবি করেছে, শুধু আমেরিকার জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন তৈরি করতেই অন্তত ২১ হাজার হাঙরকে মারতে হবে । গাছের থেকেও ‘স্কুইলিন অয়েল’ পাওয়া যায়। সংস্থাটির দাবি, হাঙর না-মেরে যদি গাছ থেকে পাওয়া স্কুইলিন অয়েল ব্যবহার করা হয় ।


https://www.anandabazar.com/amp/international/at-least-half-a-million-sharks-could-be-killed-to-produce-covid-19-vaccine-1.1209855

Post a Comment

Previous Post Next Post