জবর খবর বাংলা

লাল্টু ভট্টাচার্য্য , নদীয়া : 74 তম স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপটে নেতাজি সুভাষ বসুর মূর্তিতে মাল্য দান করলেন শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রবীণ সমাজসেবক শ্রী রূপায়ণ চৌধুরী মহাশয় | নেতাজি মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে রূপায়নবাবু বলেন শান্তিপুরের স্বাধীনতা মানেই পন্ডিত লক্ষীকান্ত মৈত্র এবং কবি করুনা নিধান বন্দ্যোপাধ্যায় | যদিও বর্তমান প্রজন্ম এখন এই ব্যাপারে অজ্ঞাত | এছাড়াও 74 তম স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটে রূপায়নবাবু উপস্থাপন করেন বর্তমানের কোভিড 19 এর প্রেক্ষাপট , সমাজ সচেতনতা , ধর্ম , শিক্ষা , চেতনা -এই সমস্ত ব্যাপারে আলোকপাত করতে দেখা গেছে |

শান্তিপুরে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে ছাড়াও রূপায়নবাবু তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন শান্তিপুর বুড়োশিবতলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির পাদদেশে | যেটা আজকের দিনে অন্য কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে প্রতক্ষ্য করা যায় নি ; 1947 এ স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে রূপায়নবাবু বলেন " স্বাধীনতার পর আমাদের শান্তিপুর সহ প্রায় সমস্ত নদীয়া জেলায় চলে গিয়েছিলো পূর্ব পাকিস্তানে | এই অঞ্চলের মানুষেরা শংকিত হয়ে পড়লে পন্ডিত লক্ষীকান্ত মৈত্র দরবার করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর কাছে , শান্তিপুর সহ নাদিয়াকে ভারতভুক্তির জন্য "| এরপর নেহেরু পন্ডিতজির আবেদনে সারা দিয়ে 1947 সালে 17 ই অগাস্ট রাতে ঘোষণা করেন শান্তিপুর ও নদীয়া জেলা ভারতবর্ষের অন্তর্গত | পরের দিন 1947 সালের 18 ই অগাস্ট খবরটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হতেই মানুষের প্রবল উন্মাদনা শুরু হয় | তারা ঢাক ঢোল সহ বেরিয়ে পড়েন শহরের রাজপথে | শান্তিপুর শহরে প্রথম জাতীয় পতাকাটি তুলেছিলেন কবি করুনা নিধন বন্দ্যোপাধ্যায় , সূত্রের খবর সেটা শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে আজও সংরক্ষিত আছে | সুতরাং , স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজি সুভাষ বসুর পাশাপাশি ভূমিকা আছে শান্তিপুরের লক্ষীকান্ত মৈত্র ও কবি করুনা নিধন বন্দ্যোপাধ্যায়েরও |

নদীয়া থেকে লাল্টু ভট্টাচার্য্যের রিপোর্ট

Disclaimer: This story is Published by laltu bhattacharjee and has not been created by JK Bangla News & The authenticity of the video has not been verified.


Post a Comment

Previous Post Next Post