বর্ধমানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই সংখ্যা এত বাড়তে থাকায় চিন্তিত চিকিৎসক মহল । কিন্তু এই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ কি ?
নিজস্ব প্রতিবেদন :- স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের একাংশ মনে করছেন, ফিরে আসার পরে পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন । তাদের মধ্যে অনেকে করোনা আক্রান্ত হলেও কোনো উপসর্গ না থাকায় তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি । এর জেরেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে । এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল হওয়ার জন্য জেলার মধ্যে যোগাযোগও বাড়তে থাকে এবং সংক্রমণও বাড়তে থাকে।
বর্ধমান জেলার মণ্ডল গ্রামে সোমবার নয় জন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিকে তুলে নিয়ে গেলো স্বাস্থ্যকর্মীরা। রবিবার বিকেলে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে ।
আক্রান্তের মধ্যে যাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারা হলেন -
- শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী (৫০),
- রবিন রায় (৬২),
- সুধাংশু শেখর জানা (৬০),
- পরেশ বিশ্বাস (৪৭),
- সন্তু সরকার দাস (৩২),
- গোবিন্দ ঘোষ(৩৫),
- বুদ্ধদেব মজুমদার (৩৫),
- বিমল ব্যানার্জী (৮০)
- যুধিষ্ঠির মণ্ডল (৩৬) ।
" পসিটিভ রিপোর্ট গুলি দেখতে CLICK করুন "
পুলিশ গোটা এলাকাটি গণ্ডীবদ্ধ করেছেন । এই ব্যাবস্থা মণ্ডল গ্রাম ছাড়াও আরও ৮০টি জায়গায় লাগু হয়েছে । সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাইক নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে । মাস্ক ব্যাবহার বাধ্যতামূলক ও জনবহুল এলাকায় ভিড় কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ।
জেলার সাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানান, যে হারে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে তাতে চিকিৎসা কিভাবে হবে সেটাই সবথেকে বড়ো সমস্যা । জেলার একমাত্র কোভিড হাসপাতাল ভর্তি হয়ে গেছে । সেখানে শুধু বর্ধমান নয়, হুগলির আক্রান্তরা আছেন । এই অবস্থায় জেলা সাস্থ্য দফতর থেকে হোম আইসোলসান এ থাকারই নির্দেশ দিচ্ছে ।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় আকান্তের সংখ্যা ২০০ পৌঁছতে সময় লেগেছিল প্রায় দুই মাস । তার পর ৩০০ পেরিয়ে যায় মাত্র নয় দিনে । গত রবিবার সেটা ৩৫০ ছুয়ে ফেললো । এই ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় চিন্তিত জেলা কর্তাদের ।
পূর্ব বর্ধমান - এ ৯ জুলাই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০৪, ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে আরো ১০০ র বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে । শনি ও রবিবার যথাক্রমে ৩৫ ও ২৫ জনের সন্ধান মেলে ।এর মধ্যে রবিবার জামালপুরে ১২ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে । তাঁদের মধ্যে প্রসূতিও রয়েছেন । এখনও পর্যন্ত বর্ধমান শহরে ৪৩ জন, কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে ৩৪ জন, মঙ্গলকোটে ২৫ জন ও কাটোয়া শহরে ২০ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে । জেলায় দু’জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে ।
Post a Comment