আল্পসের সেই সর্বোচ্চ শৃঙ্গের কাছেই ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ভেঙে পড়েছিল বিমান। তাতে ছিলেন ভারতের পরমাণু গবেষণার জনক হোমি জাহাঙ্গির ভাবা।

'ন্যাশনাল হেরাল্ড'-এর ব্যান্যার হেড - ‘দলনেত্রী নির্বাচিত ইন্দিরা গান্ধী’। নীচেই আরও একটি প্রতিবেদনের হেডলাইন - 'ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী'। সেখান থেকেই চোখ ঘোরালেই ‘দ্য স্টেটম্যান’-এর শিরোনাম ‘মন্ত্রক গঠনের কথা বলা হয়েছে ইন্দিরাকে’।

ভারতের কোনও পুরনো লাইব্রেরি নয়, বরফ গলে এমনই কাগজ মিলল ফেঞ্চ আল্পসের মঁ ব্লাঁ শৃঙ্গের কাছে। আল্পসের সেই সর্বোচ্চ শৃঙ্গের কাছেই ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান 'কাঞ্চনজঙ্ঘা'। সেই বিমানে ছিলেন ভারতের পরমাণু গবেষণার জনক হোমি জাহাঙ্গির ভাবা। সেই দুর্ঘটনায় ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


ওইরকম প্রায় এক ডজন কাগজগুলির সন্ধান পেয়েছেন তিমোথি মতিন নামে এক ব্যক্তি। যিনি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৪৫৫ ফুট উঁচুতে চ্যামোনিক্স স্কিয়িং হাবের কাছে একটি ক্যাফে-রেস্তরাঁ চালান। মতিন বলেন, ‘ওগুলি এখন শুকোচ্ছে। কিন্তু সেগুলির অবস্থা ভালো। আপনি সেগুলি পড়তে পারবেন’ কিন্তু কীভাবে এরকম ঐতিহাসিক দলিলের সন্ধান পেলেন? ক্যাফে-রেস্তরাঁর মালিক বলেন, ‘এটা অভাবনীয় কিছু নয়। যখনই বন্ধুদের সঙ্গে হিমবাহে হাঁটাহাঁটি করি, তখনই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কিছু ধ্বংসাবশেষ পাই।’

যে বসন হিমবাহের কাছে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, সেখান থেকে হেঁটে মতিনের ক্যাফে-রেস্তোরাঁয় পৌঁছাতে মেরেকেটে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। মতিন বলেন, ‘অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে আপনি জানতে পারবেন, কোথা থেকে সেগুলি আসছে। আকৃতি অনুযায়ী হিমবাহের সঙ্গে সেগুলি চলে আসে।’

মতিন জানান, কাগজগুলি শুকিয়ে যাওয়ার পর রেস্তোরাঁয় নিজের সংগ্রহশালায় রাখবেন। বিমান দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে জিনিসগুলি দীর্ঘদিন ধরে তিনি পেয়ে এসেছেন, সেগুলির সঙ্গে শোভা পাবে সেই ‘ব্রেকিং নিউজ’।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন