জবর খবর বাংলা


রাত আটটা নাগাদ ইছাপুরের মায়াপল্লি অঞ্চলে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন কাউন্সিলর। তিন-চারজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

#ব্যারাকপুর: সন্ধ্যা গড়াতেই গুলি চলল ব্যারাকপুরে। উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চম্পা দাসকে বাড়ির সামনেই গুলি করে দুষ্কৃতীরা। পায়ে গুলি লেগেছে কাউন্সিলরের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। ঘটনাস্থলে রয়েছে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।

শনিবার রাত আটটা নাগাদ ইছাপুরের মায়াপল্লি অঞ্চলে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন কাউন্সিলর। তিন-চারজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাক্তন কাউন্সিলর গুলিবিদ্ধ হওয়ার নেপথ্যে বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃনমূল নেতা উত্তম দাসের। তাঁর অভিযোগ, চম্পা দাসের মতো দক্ষ কাউন্সিলরের শাসক দলে থাকাটা বিরোধীরা মেনে নিতে পারছে না। তাই এই কাণ্ড ঘটাল।

আহত কাউন্সিলরের অনুগামীরা জানিয়েছেন, দুটি মোটর সাইকেলে করে চার জন  দুষ্কৃতী এসেছিল ঘটনাস্থলে। ২০১৫ সালে পুরসভা নির্বাচনে উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন চম্পা দাস। পরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কাজে ইছাপুর মায়াপল্লীর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল নেত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বাঁ পায়ে গুলি লেগেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাতিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

এ দিকে ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন এলাকার দাপুটে নেত্রীকে উদ্ধার করতে।  খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ছুটে আসেন অনুগামীরা  । তাঁরাই নেত্রীকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে চম্পা দাসকে । অন্যদিকে, এ দিন রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের জয়েন্ট কমিশনার অজয় ঠাকুর। তিনি বলেন, "গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। প্রাক্তন কাউন্সিলর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।"

Post a Comment

Previous Post Next Post