জবর খবর বাংলা

সংগৃহীত: করোনা আর লকডাউনের জাঁতাকলে আলোর শহর চন্দননগর এখন অন্ধকার। দিল্লি, চেন্নাই এবং মুম্বইয়ের দুর্গাপুজোর আলোকসজ্জার চুক্তি অনেক আগে বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তবুও আশায় বুক বেঁধে বসেছিলেন চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা। কলকাতা তো আছে! এ বছর রোজগার কম হলেও কলকাতার কাজ করে সংসার চালিয়ে নিতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু এই আশাতেও ছাই পড়ল।


গত ৩ দিনে এক এক করে কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে এবারের দুর্গাপুজোর সমস্ত চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে পুজো কমিটিগুলো। মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে  জড়িত প্রায় ৫০ হাজার আলোকশিল্পীর। তারমধ্যে অনেকের কার্যত উনুন জ্বলার পরিস্থিতি। সংসার চালাতে রোজগারের জন্য রাস্তায় নামলেন কোটিপতি ব্যবসায়ীদের বাড়ি মহিলারা। যাঁরা চার চাকার গাড়ি করে ঘুরে বেড়াতেন সেইসব বাড়ির মহিলারা এখন মুদিখানার দোকান সামলাচ্ছেন। ছোটো ব্যবসায়ী বা দিন আনা দিন খাওয়া কর্মীরা সবজি কিংবা মাছ নিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করছেন। 

কুলুপুকুর ধার থেকে বিদ্যালঙ্কা এলাকাটি দু'পাশে সারিবদ্ধ দোকান ছিল শুধুই আলোর। যেখানে  এক বছর আগেও  দেখা যেত চরম ব্যস্ততা। দিনরাত এক করে কর্মীরা কাজ করতেন। একের  পর এক দোকান আলো ঝলমল করতো। চলতো নানা রকম কারুকার্যের কাজ। শুধু বাংলা নয় এই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের ভিড় থাকতো। সেই এলাকায় এখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। একাধিক দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর কিছু দোকান আলোর সরঞ্জাম গুটিয়ে সবজি, মনোহারী ও মুদিখানার দোকানে পরিণত হয়েছে। আবার কেউ পুঁজির অভাবে দোকান বন্ধ করে দিয়ে দোকানের সামনে বসেই মাছ কি মুরগির মাংস বিক্রি করতে শুরু করে দিয়েছেন। এক চরম অন্ধকার নেমে এসেছে আলোর শহর চন্দননগরে।

source zee24ghanta (অধীর রায়)

Post a Comment

Previous Post Next Post